ফেসবুক

ফেসবুক বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে জনপ্রিয় এ প্লাটফর্মে আপনি আপনার ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারেন। বর্তমানে বিশ্বের লাখ তরুণ ফেসবুক কেন্দ্রিক উপার্জনের দিকে ছুটছে এবং তারা সফলও হচ্ছে।

আজ থেকে ১০ বছর আগেও ফেসবুকে যা করা সম্ভব ছিল না, তা এখন সম্ভব। ফেসবুকে যুক্ত হওয়া নিত্য নতুন ফিচারের কল্যাণে আপনি এখন ঘরে বসেই ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হতে পারে, আবার কিছু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি আপনার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই পর্যাপ্ত আয় করতে পারেন।

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। আপনি যদি আপনার হাতের স্মার্টফোনটির সর্বাধিক ব্যবহার জানেন, তবে এটি আপনার জন্য আরো সহজ হয়ে যাবে। কোর্সটিকায় আজ আমরা ফেসবুক থেকে ইনমকাম এর ৯ টি সহজতর উপায় জানবো, যা অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই প্রতিমাসে স্মার্ট একটি ইনকাম করতে পারেন।

১. আপনার কনটেন্ট প্রচার করুন

আপনি যদি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন, তবে ফেসবুক আপনাকে আয়ের দারুণ একটি সুযোগ করে দেবে। আপনার তৈরিকৃত কনটেন্টগুলো যদি কপিরাইটমুক্ত হয়, তাহলে আপনি আপনার পেজটি মনিটাইজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ফেসবুক আপনার আবেদনটি গ্রহণ করলে আপরার কনটেন্টে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। যেখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনার যদি কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে, তবে সেটি আপনার পেজে প্রমোট করার মাধ্যমে আপনি সেখানে প্রচুর ট্রাফিক নিতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ব্লগার এবং ইউটিউবার ফেসবুক থেকে ট্রাফিক নিচ্ছে এবং কনটেন্টে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করছে।

এটি আপনি তখনই করতে পারবেন, যখন ফেসবুকে আপনার অনেক অডিয়েন্স থাকবে। তাই ফেসবুকে প্রচুর অডিয়েন্স বাড়াতে আপনার কনটেন্টগুলোকে আরো জনপ্রিয় করে তুলুন। এর ফলে আপনার ফেসবুক পেজে লাইক এবং ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যা আপনার উপার্জনকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশনের জন্য অন্য কারও পণ্য প্রচার করার জনপ্রিয় এক প্রক্রিয়া। ফেসবুকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রচার করে আপনি বিক্রয়মূল্যের একটি অংশ উপার্জন করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে। সেখানে আপনি কোন একটি ব্রান্ডের স্মার্টফোন প্রচার করলেন। আপনার এই প্রচারণায় যদি কোন স্মার্টফোন বিক্রি হয়, তবে বিক্রয়মূল্যের একটি অংশ আপনি কমিশন হিসেবে পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সমর্থন করে এমন বেশকিছু জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে Amazon, Ali Express এবং Flipkart অন্যতম। আপনি কমিশনের জন্য এসকল কোম্পানির প্রোডাক্ট লিংক আপনার জনপ্রিয় কোন পেজ বা গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন। পণ্যভেদে এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আপনাকে ১০%-৩০% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকবে।

বাংলাদেশেরও এমন কিছু প্লাটফর্মের মধ্যে রয়েছে 10 Minute School এবং Ghoori Learning। এদের ওয়েবসাইটে রয়েছে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোডাক্ট। শিক্ষার্থীদের কাছে এসব প্রোডাক্টের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি এসব ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন কোর্স অথবা ই-বুক প্রচার করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

৩. নিজের পণ্য বিক্রয় করুন

অন্য কারও পণ্য বিক্রি না করে আপনি নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এগুলো আপনি নিজে থেকেই বিক্রি করতে পারেন অথবা চাইলে ফেসবুকে এমন লোকদেরও খুঁজে পেতে পারেন যারা কমিশনের জন্য আপনার পণ্য প্রচারে আগ্রহী।
এখনকার সময় ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজগুলো আরো বেশি আধুনিক। আপনি এসব প্লাটফর্ম ব্যবহার করেই ওয়েবসাইটের আদালে আপনার পণ্যের জন্য একটি মার্কেটপ্লেস তৈরি করে ফেলতে পারবেন। এসব পেজ বা গ্রুপে আপনি আপনার বই, পোশাক বা অন্যান্য পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

ফেসবুক একটি ভাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যম। আপনি অন্যান্য কনটেন্ট নির্মাতাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন যে তারা আপনার পণ্যের প্রচারে আগ্রহী কিনা। অধিকাংম পেইড কনটেন্ট নির্মাতারা 50% কমিশন অফার করেন এবং তারা আপনার পণ্যটি বিক্রির কাজ করেন।

৪. স্পনসর নিন

বাজার প্রচলিত বিভিন্ন ব্রান্ড রয়েছে যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য উদীয়মান কনটেন্ট নির্মাতাদের খোঁজ করে থাকে। আপনি যদি একজন কনটেন্ট নির্মাতা হয়ে থাকেন, তবে এসব প্রতিষ্ঠানের হয়ে স্পন্সরশিপ গ্রহণ করতে পারেন এবং তা থেকে উপার্জনও করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনার কাজ হচ্ছে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য বা সেবা নিয়ে ভিডিও তৈরি করা এবং সেখানে পণ্যের গুণগত মান তুলে ধরা। ফেসবুকে আপনার অডিয়েন্স যত বড় হবে, আপনি স্পনসর করা পোস্টগুলোর মাধ্যমে তত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

৫. ফেসবুক মার্কেটার হতে পারেন

ফেসবুকের অ্যাড একটি পণ্যকে অনেক বেশি প্রচার এনে দিতে পারে। বর্তমানে ফেসবুক অ্যাড অনেক বেশি কার্যকরী এবং অ্যাডভান্সড হওয়ার ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ প্রতিমাসে প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। আরো এত বেশি অডিয়েন্সের কাছে পণ্যের প্রচার করাটা অনেক বেশি লাভজনক।

আপনি একজন ফেসবুক মার্কেটার হয়ে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণা করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে তাদের টার্গেট অডিয়েন্স রিসার্স করতে হবে। ফেসবুকে একদিন বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য আপনি সর্বনিম্ন $1 করে পেতে পারেন।

বর্তমানে দেশে বিদেশে অনেক ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছেন যারা ফেসবুকের অ্যাড রান করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন রান করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন তৈরির কাজ জানতে হবে। এক্ষেত্রে অল্প গ্রাফিক ডিজাইন জানা থাকলে আপনি সুন্দর সুন্দর বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবেন, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম।

৬. পেজ প্রমোট করে দিন

ফেসবুক মার্কেটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পেজ প্রমোট করা। অনেক নতুন কোম্পানি তাদের পেজের লাইক এবং ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে চায়। শুধুমাত্র কোম্পানিই না, যেকোন প্রতিষ্ঠান বা আর্টিস্টদের মধ্যেও পেজ প্রমোট করে লাইক এবং ফলোয়ার বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। আপনি এ সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন।

৭. Short Link শেয়ার করতে পারেন

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে Short Link শেয়ার করে ইনকাম পদ্ধতি খুব বেশি পরিচিত না হলেও অন্যান্য দেশে এর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সাধারণত URL বা লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমেই আমরা কোন কটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারি। আর এই লিংকে ক্লিক করানোর মাধ্যমেই আপনি টাকা আয় করতে পারেন।

Adf.LY এবং ShrinkMe.IO এর মত এমন বেশকিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম আছে, আপনি সেখানে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করুন। তারপর এখান থেকে প্রয়োজনীয় Link টি Short করে আপনার পেজ বা গ্রুপে পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করুন।
কিভাবে করবেন: মনে করুন, আপনি একটি মুভি ডাউনলোড লিংক শেয়ার করতে চাচ্ছেন। এখন সেটির ডাউনলোড লিংকটি উল্লেখিত ওয়েবসাইটে গিয়ে শর্ট করে নিন। তারপর সেটিকে ফেসবুকে শেয়ার করুন। কেউ যদি এই লিংকে ক্লিক করে তাহলে তাকে ডাউনলোড লিংকে নয়, নির্দিষ্ট অন্য একটি সাইটে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কয়েক সেকেন্ড থাকার পরে তাকে ডাউনলোড লিংকে রিডায়রেক্ট করা হবে।

এই যে কোন ইউজার আপানার দেয়া থার্ড পার্টির ওই লিংকে ক্লিক করলো, এতেই আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। এধরনের জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হচ্ছে shorte.ST, Adf.LY, Ouo.IO, ShrinkMe.IO এবং Shortzon.COM।

৮. ওয়েবসাইটের প্রচার করুন

যদি আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে এবং সেখান থেকে টাকা আয় করে থাকেন তবে সেটি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ইনাকাম ৪০ গুণ বাড়াতে সক্ষম হবেন। কারণ ফেসবুকে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট প্রচার করলে খুব ভাল মানের ভিজিটর পাওয়া সম্ভব।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলো জনপ্রিয় কোন ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন। অনেকেই আগ্রহী হয়ে সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবে। তাছাড়া যদি আপনার ই-কমার্স সাইট থাকে তাহলে আপনার পণ্য বিক্রির অন্যতম সহজ মাধ্যম হবে এটি।

৯. ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল দিয়ে ইনকাম

ব্লগারদের জন্য গুগল অ্যাডসেন্সের চমৎকার একটি বিকল্প হচ্ছে ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল। আপনার যদি একটি ব্লগ ভিত্তিক ওয়েবসাইট থাকে, তবে আপনি নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করে সেটিকে ফেসবুকে মনিটাইজ করাতে পারবেন। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্টে ফেসবুকের স্পন্সর করা বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হবে।

এই পদ্ধতিতে ফেইসবুকের মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করে উক্ত ওয়েবসাইটে না গিয়ে ফেইসবুকে থেকেই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়া যায়। জানা যায় গুগল অ্যাডসেন্সের থেকে ইন্সট্যান্ট আর্টিকেলে ভালো ইনকাম করা সম্ভব। এর একটি প্রধান কারণ ফেইসবুকে মানুষ অনেক সময় ব্যয় করে। ফলে এখান থেকে কাঙ্খিত ট্রাফিক ওয়েবসাইটে নেয়া সম্ভব।

ফেসবুকে টাকা ইনকাম করার অন্যান্য উপায়

  • অনেক সময় বিখ্যাত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান ফেসবুক পেজ পরিচলনা করার জন্য পেমেন্ট দিয়ে থাকে। আপনি এ ধরনের সহজ কাজ করে ঘরে বসেই ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারেন।
  • আপনার কাছে এমন কিছু পেজ আছে যাতে প্রচুর লাইক বা ফলোয়ার রয়েছে। আপনি এগুলোকে বিক্রি করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার জন্য ফেসবুকে নির্দিষ্ট কিছু গ্রুপ রয়েছে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয় নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।
  • আপনার জনপ্রিয় পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইভেন্ট প্রচার করে ইনকাম করা সম্ভব।

কে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারে?

যে কেউ ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারেন। জীবনের যে কোনও কিছুর মতো, আপনার প্রচেষ্টা প্রথমবার কাজ না করলে আপনাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে এবং হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। আপনি যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন এবং আপনার যদি প্রচুর অধ্যাবসায় থাকে, তবে আপনিও ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারেন।

ফেসবুকে টাকা আয় করার পূর্বে আপনার প্রোফাইলটিকে অবশ্যই প্রফেশনালভাবে সাজানোটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুরুতেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি বেশ প্রফেশনাল দেখাচ্ছে। প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অংশে নিজের সত্যিকারের একটি ছবি রাখুন।

যদি আপনি এ কাজের জন্য কোন পেজ ব্যবহার করেন, তবে আপনার প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, এতে যেন কোন অপ্রাসঙ্গিক ছবি না থাকে। যখন কেউ আপনার প্রোফাইল বা পেজে প্রবেশ করবে, তখন এসব বেসিক বিষয়গুলো দেখে তারা আপনার সেবার কোয়ালিটি পরিমাপ করবে।

এই পরামর্শগুলো সবার জন্যই প্রযোজন্য। এগুলো আপনার আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের মান সবার কাছে তুলে ধরবে। ফেসবুকে প্রচুর স্প্যামার রয়েছে। যারা কখনোই প্রকৃত সেবা দেয় না। কখনই তাদের অনুসরণ করবেন না। এতে আপনার দীর্ঘস্থায়ী অর্থোপার্জনের সম্ভাবনা ক্ষীণ হবে।

আপনি ফেসবুকে কী বিক্রি করতে পারবেন?

যে কোনও কিছুই ফেসবুকে বিক্রি করা যায়। বেশিরভাগ লোকেরা তাদের ব্যবহৃত গাড়ি, সেকেন্ডহ্যান্ড আইটেম, হাতে তৈরি কোন কিছু বা ই-বুক বিক্রয় করে থাকে। এগুলো বিক্রির জন্য তারা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। তবে আপনি ফেসবুকে বিক্রি করতে পারবেন না এমন কিছু জিনিসও রয়েছে। যেমন:

  • অ্যালকোহল
  • অবৈধ মাদক দ্রব্য
  • তামাক
  • আগ্নেয়াস্ত্র
  • প্রাণী
  • আসল অর্থ জুয়া পণ্য
  • কিছু স্বাস্থ্যসেবা পণ্য

শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানলেন ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। আপনি আপনার সেবা স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে চান বা কোনও অনলাইন ওয়েবসাইট প্রচার করতে চান তা বিবেচ্য নয়। যে কোনভাবে যে কেউ ফেসবুক দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আপনি উপরে দেয়া জনপ্রিয় এবং কার্যকরী পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন। বিশ্বের সকল জনপ্রিয় মার্কেটাররা এগুলো করেই ফেসবুক থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছে। আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন মেনে কাজ চালিয়ে যান, তাহলে এই সফলতা আপনার জন্যও অপেক্ষা করছে।

Related Post

Leave a Comment