General Knowledge

পটভূমি

বাংলাদেশে রেশম সেক্টরের উন্নয়ন লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারোপ্রই)। এ প্রতিষ্ঠানটি ৩ জানুয়ারি ১৯৬২ Silk
cum Lac Research Institute and Silk Technological Institute রাজশাহী শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে এটি বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের অধীনে আসে এবং বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (BSRTI) নামে পুনঃ নামকরণ করা হয়।

২০০৩ সালের ২৫নং আইনবলে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের আওতামুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ রিসার্চ কাউন্সিল আইন ২০১২ মোতাবেক কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় National Agriculture Research System (NARS) এর সদস্যভুক্ত হয়। ৬ মার্চ ২০১৩ এ ১৩নং আইনবলে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়।

রূপকল্প : দেশে রেশম শিল্পের বিকাশে রেশম শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূকে গবেষণা ও উন্নয়ন সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি গতিশীল প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা ।

অভিলক্ষ্য : উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে রেশম শিল্পকে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করণ ।

প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম

  • জার্মপ্লাজম ব্যাংকে তুঁত ও রেশমকীটের জাত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ
  • আবহাওয়া উপযোগী উচ্চফলনশীল তুঁতজাত ও রেশমকীটের জাত উদ্ভাবন ।
  • মাটির ভৌত-রাসায়নিক গুণাগুণ বিশ্লেষণ ও তুঁতপাতার পুষ্টিমান নির্ণয় ।
  • তুঁতপাতার মান উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত তুঁতচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন
  • রেশম গুটির মান উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত পলুপালন প্রযুক্তি উদ্ভাবন
  • তুঁতগাছ ও রেশমকীটের রোগ বালাই ও কীট শত্রু দমন
  • রেশম উপজাতের বাণিজ্যিক ব্যবহার সম্পর্কিত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ।
  • রেশম সুতার মান উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ।
  • রেশম শিল্পে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান
  • উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে হস্তান্তর।

গবেষণা শাখা

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর ৫টি গবেষণা শাখা যথা— ১. তুঁতচাষ, ২. রেশমকীট, ৩. সেরি-রসায়ন, ৪. সেরি- রোগতত্ত্ব, ৫. রেশম প্রযুক্তি শাখা এবং একটি প্রশিক্ষণ শাখা রয়েছে। তাছাড়া BSRTI-এর নিয়ন্ত্রণাধীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার চন্দ্রঘোনায় একটি আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র এবং পঞ্চগড় জেলার সাকোয়ায় একটি জার্মপ্লাজম মেইনটেন্যান্স সেন্টার রয়েছে।

উদ্ভাবিত তুঁতের জাত

BM-1, BM-2, BM-3, BM-4, BM-5, BM-6, BM-7, BM-8, BM-9, BM-10, BM-11

রেশম কী

রেশম বমবিকস মোরি বর্গভুক্ত রেশমপোকার গুটি থেকে তৈরি সুতা দিয়ে বোনা একপ্রকার সূক্ষ্ম ও কোমল তন্ত্র। বিশেষ ব্যবস্থায় রেশম পোকা চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এ সুতা প্রস্তুত করা হয় । রেশম গুটি আসলে রেশম মথের শুঁয়োপোকা; এদের একমাত্র খাদ্য তুঁতপাতা। রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে সেরিকালচার বলা হয়। বাংলায় দীর্ঘদিন থেকে চার ধরনের রেশম তৈরি হয়ে আসছে: মালবেরি, এন্ডি, মুগা এবং তসর। রেশম থেকে প্রস্তুত পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কামিজ, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, ওড়না, শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, স্কার্ফ, রুমাল, টাই, বেবিওয়্যার ইত্যাদি অন্যতম। রেশমের তৈরি অন্য একটি জনপ্রিয় শাড়ির নাম ঢাকার কাতান ।

Fact File: BSRTI

  • নাম : বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (BSRTI)
  • BSRTI’র পূর্ণরূপ — Bangladesh Sericulture Research and Training Institute
  • প্রতিষ্ঠা : ৩ জানুয়ারি ১৯৬২
  • অবস্থান : রাজশাহী
  • নির্বাহী প্রধান : পরিচালক
  • যে মন্ত্রণালয়ের অধীন: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ।

জেনে রাখুন

  • সেরিকালচার বলতে কী বোঝায়? রেশম চাষ। [একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠ সহকারী ২০১৮)
  • রেশম চাষকে কী বলা হয়? – সেরিকালচার। [দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অডিটর ২০১৯]
  • তেলিয়া, ধুদিয়া, ঘাগড়া, লাল বোম্বে, সাদা বোম্বে হলো— তুঁতের কয়েকটি জাত ।

Related Post

Leave a Comment